অতিরিক্ত ফন্ট ডিলিট করা

উইন্ডোজ সব ফন্টই স্টার্টআপের সময় মূল মেমরিতে নিয়ে নেয়। ফলে বুটটাইম বেড়ে যায়। run>fonts-এ গিয়ে অপ্রয়োজনীয় ফন্টগুলো ডিলিট করে দেয়া যায়। তবে সিস্টেম ফন্ট নিয়ে তালগোল পাকানো ঠিক নয়। সিস্টেম ফন্টের লিস্ট আপনি খুঁজে নিতে পারেন এখান থেকে http://www.microsoft. com/ typography/default.mspx।


সিস্টেম রিস্টোর

উইন্ডোজের আগের ভার্সনের সিস্টেম রিস্টোর ফিচারটি ছিল অনেকটা ঝুঁকিপূর্ণ। কেননা, এতে জানার কোনো উপায় ছিল না কোন ড্রাইভ বা অ্যাপ্লি¬কেশন আক্রান্ত হয়েছে। তাই আপনাকে শুধু চেষ্টা করে দেখতে হয়।
এক্ষেত্রে উইন্ডোজ ৭ ভিন্ন। মাউসে ডান ক্লিক করে Properties>System Protection>System Restore>Next সিলেক্ট করতে হবে এবং আপনার কাঙ্ক্ষিত রিস্টোর পয়েন্ট বেছে নিতে হবে, যা আপনি ব্যবহার করবেন। এবার নতুন বাটন Scan for affected programs-এ ক্লিক করলে উইন্ডোজ বলে দেবে কোন প্রোগ্রাম এবং ড্রাইভ ডিলিট হবে বা রিস্টোর পয়েন্ট সিলেক্ট করার মাধ্যমে রিকোভার হবে।

পাওয়ার ইফেসিয়েন্সি রিপোর্ট পাওয়া

যদি আপনার ল্যাপটপ থাকে তাহলে পাওয়ার ইফেসিয়েন্সি ক্যালকুলেটর ব্যবহার করতে পারেন, যাতে উইন্ডোজ ৭ পাওয়ার কনজাম্পশন লোড জেনারেট করতে পারে। ফলে পাওয়ার কনজাম্পশনের ওপর প্রয়োজনীয় তথ্য পাওয়া যাবে। এই তথ্য যথাযথভাবে ব্যবহার করতে পারলে ব্যাটারির আয়ু যেমন বাড়াতে পারবেন, তেমনি বাড়াতে পারবেন পারফরম্যান্স। এ কাজটি করতে চাইলে আপনাকে অবশ্যই অ্যাডমিনিস্ট্রেটর হিসেবে কমান্ড প্রম্পট চালু করতে হবে। এজন্য Start Search-এ গিয়ে cmd টাইপ করে এন্টার চাপতে হবে। যখন cmd আইকন আবির্ভূত হবে তখন এতে ডান ক্লিক করে অ্যাডমিনিস্ট্রেটর হিসেবে Run বেছে নিন।

এরপর কমান্ড লাইনে Powercfg>energy টাইপ করে এন্টার চাপুন। এর ফলে উইন্ডোজ ৭ আপনার সিস্টেম স্ক্যান করে পাওয়ার ইফেসিয়েন্সি উন্নত করার উপায় বের করার চেষ্টা করবে। এরপর এইচটিএমএল ফাইলে এর ফল প্রকাশ করবে। এই ফাইলটি সাধারণত সিস্টেম ৩২ ফোল্ডারে থাকে। এই রিপোর্ট পাওয়ার জন্য পথ অনুসরণ করে এগিয়ে যেতে হবে।





পেনড্রাইভ অটো প্লে বন্ধ করা

কমপিউটারে ভাইরাস ছড়ানোর জন্য প্রধানত দায়ী পেনড্রাইভ। যখন কমপিউটারে পেনড্রাইভ লাগানো হয়, তখন অনেক সময় পেনড্রাইভ অটো ওপেন হয়ে যায়। ফলে ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ে আর কমপিউটারকে স্লো করে ফেলে। তাই অটো প্লে বন্ধ করতে হবে।
Run>gpedit.msc>enter>user configuration>administrative templates>system>turn off auto play>enable>all drive>ok. (এই ট্রিকস Windows 7-এর জন্য প্রযোজ্য নয়।)

জীবনটাকে অনেক মজার ও সহজ করে দিতে পারে স্মার্টফোন এর যেই ১৩টি অ্যাপ

আধুনিক স্মার্টফোনের অ্যাপসের কোনো শেষ নেই। এগুলোর ব্যবহার আপনার জীবনটাকে অনেক মজার ও সহজ করে দিতে পারে। বিশেষ করে ইউটিলিটি অ্যাপগুলো আপনার যাবতীয় প্রয়োজন মেটাতে পারে। বিশাল সমুদ্র থেকে এখানে এমন ১৩টি অ্যাপের সন্ধান দিচ্ছেন বিজ্ঞানীরা যার মাধ্যমে দারুণ কিছু সুবিধা ভোগ করতে পারবেন।



১. অন্ধকারে ছেয়ে আসা আকাশ বৃষ্টি বা তুষারপাতের খবর দিতে পারে। ৩.৯৯ ডলারে আইওএস সিস্টেমে এই অ্যাপটি পেতে পারেন যা এমন আকাশ কখন বর্ষণ করবে তা সঠিকভাবে জানিয়ে দেয়।
২. লেভেল মানি অ্যাপটি আপনাকে সংযুক্ত করবে ব্যাংক অ্যাকাউন্টের সঙ্গে। আর জানিয়ে দেবে আজ কত টাকা খরচ করতে পারবেন। মাসের খরচ, সঞ্চয় এবং অন্যান্য হিসাবও জানিয়ে দেবে অ্যাপটি।
৩. ফ্লাইক্লিনারস অ্যাপটি আপনার লন্ড্রিতে দেওয়ার কাপড় তোলা ও দিয়ে আসা মনে করিয়ে দেবে।
৪. স্কাই গাইড এক চমৎকার জ্যোর্তিবিজ্ঞানের অ্যাপ। এর কম্পাস আপনাকে দিকে নির্দেশনা দেবে। আইওএস অপারেটিংয়ে এর দাম পড়বে ১.৯৯ ডলার।
৫. ভেনমো অ্যাপের মাধ্যমে স্মার্টফোন থেকেই দ্রুত এবং নিরাপত্তার সঙ্গে যেকোনো পেমেন্ট দিতে পারবেন।
৬. ১ পাসওয়ার্ড এবং লাস্টপাস অ্যাপ থাকলে আপনাকে কোনদিন আর পাসওয়ার্ড মুখস্থ রাখার ঝামেলা করতে হবে না। এই অ্যাপটি চালু রাখতে শুধুমাত্র একটি মাস্টার পাসওয়ার্ড মনে রাখতে হবে। অ্যাপটি অ্যান্ড্রয়েড ও আইওএস-এ রয়েছে।
৭. টাইমফুল লার্ন এর মাধ্যমে নিজের বদ অভ্যাসগুলোকে বদলে ফেলতে পারবেন। এটি একটি দারুণ ক্যালেন্ডার অ্যাপ।
৮. ইয়াহু ওয়েদার অ্যাপটি সবচেয়ে ভালো মানের অ্যাপ বলেই মনে হয়। এটি ইতিমধ্যে পুরস্কার বাগিয়ে নিয়েছেন। এতে গেসচারসহ যে এলাকায় রয়েছেন সেই এলাকার ছবি প্রদর্শনের ব্যবস্থা রয়েছে।
৯. স্কয়ার অ্যাপটির মাধ্যমে যখন-তখন ক্রেডিট কার্ডের পেমেন্ট নেবে। ব্যাংকে গিয়ে লাইনে দাঁড়ানোর ঝক্কি সামলাতে এই অ্যাপটি দারুণ কাজ দেবে। এটি ক্রেডিট কার্ড প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে সরাসরি কাজ করে। অর্থের লেনদেনে এটি ২.৭৫ শতাংশ ফি কেটে নেবে।
১০. ইনস্ট্যাগ্রামের হাইপারল্যাপস আপনার জন্য একটি দারুণ টাইম ল্যাপস ভিডিও তৈরি করে দেবে।
১১. স্কাইপে এখনো ভিডিও ও মেসেজের জন্য সবচেয়ে জনপ্রিয় অ্যাপ। এটি কয়েকটি কাজের একটি প্লাটফর্ম হিসাবে কাজ করে।
১২. গুগল ক্রোম বিদ্যুৎগতির একটি ব্রাউজার। সহজে অ্যান্ড্রয়েড ও আইওএস-এ ব্যবহার করতে পারেন।
১৩. হিউমিন অ্যাপটি আপনার ভৃত্যের মতো কাজ করে দেবে। কখন কী করতে হবে তার সবই অ্যাপটি জানিয়ে দেবে।

বাড়িয়ে নিন হার্ডডিস্কের পারফরমেন্স

এখন প্রায় সবারই পিসির কনফিগারেশন অনেক হাই। কিন্তু আপনি কি জানেন কিছু মাদার বোর্ড এবং অপারেটিং সিষ্টেম নির্মাতাদের ডিফল্ট কনফিগারেশন এর জন্য আপনার হার্ড় ডিস্ক সেকেলে আমলের গতি পাচ্ছে? ব্যপারটা ক্লিয়ার করে বলি। হার্ড ডিস্ক মূলত দুই প্রকার- 


ক) পাটা এবং খ) সাটা
পাটার পারফরমেন্স সাটা অপেক্ষা অনেক কম। অর্থাৎ সাটার রিড, রাইট, স্পিন ইত্যাদি পাটার তুলনায় অনেক বেশি। আমরা সাটা হার্ড ডিস্ক ব্যবহার করার পরেও পাটার মত পারফরমেন্স পাচ্ছি। আসুন আমরা কিছু সিষ্টেম সেটিং পরিবর্তন করে পারফরমেন্স বাড়াই। এর জন্য AHCI বা এডভান্সড হোস্ট কন্ট্রোলার ইন্টারফেস কে সক্রিয় করতে হবে।

ক) সক্রিয় করতে স্টার্ট মেনুতে regedit লিখে রেজিস্ট্রি এডিটর অপেন করুন। রান থেকেও এই কাজটি করা যায়। এখন HKEY_LOCAL_MACHINE\System\CurrentControlSet\Services\Msahci এ যান।
খ) ডনপাশের বক্স থেকে Start এন্ট্রিটির ভ্যালু 3 থেকে 0 করে দিন।

গ) এবার কম্পিউটার রিষ্টার্ট করুন। বায়োসে গিয়ে আপনার হার্ড ডিস্ক এর সাটা কনফিগারেশন খুজে বের করে তা AHCI করে সেভ করে বের হয়ে আসুন।
ঘ) এবারে কমপিউটার চালু করলে উইনডোজ আপনার হার্ড ডিস্ক কে নতুন করে ডিটেক্ট করবে। এর পর আপনার পিসি নিজে থেকেই রিষ্টার্ট চাইবে। রিস্টার্ট করে সাটার সার্ভিস উপভোগ করুন।



সার্ভার টু সার্ভার ডাটা ট্রান্সফার করুন

অনলাইনে তথ্য সংরক্ষণের জন্য বিভিন্ন ক্লাউট স্টোরেজ সাইট রয়েছে। এগুলো, মধ্যে রয়েছে গুগল ড্রাইভ, স্কাই ড্রাইভ, ড্রপবক্স, বক্স, সুগার সিঙ্ক ইত্যাদি। এছাড়া নিজস্ব ওয়েবসাইটেও তথ্য সংরক্ষণ করে রাখা যায়। এসব সাইট থেকে অন্য সাইটে তথ্যগুলো (ফাইল/ফোল্ডার) ট্রান্সফার করতে হলে কম্পিউটারে ডাউনলোড করে আপলোড করতে হয়। যদি ডাউনলোড না করেই সার্ভার টু সার্ভার ট্রান্সফার করা যায় তাহলে কেমন হতো।

এমনই সার্ভার টু সার্ভার তথ্য ট্রান্সফার করার সুবিধা দিচ্ছে মাইব্যাকআপবক্স। এর দ্বারা গুগল ড্রাইভ, স্কাই ড্রাইভ, ড্রপবক্স, বক্স, সুগার সিঙ্ক-সহ মাইএসকিউএল, এফটিপি, এসএফটিপি’র ডাটাগুলো অন্য অ্যাকাউন্টে ট্রান্সফার করা যাবে। ফলে, চাইলে ওয়েবসাইটের ফাইল/ফোল্ডার এবং ডাটাবেজ নিয়মিত ব্যকআপ রাখা যাবে। এজন্য www.mybackupbox.com সাইটে গিয়ে রেজিস্ট্রেশন করুন।

ধাপ ১ : এখন Step 1-এ Click to Connect বাটনে ক্লিক করুন এবং কোন সাইট থেকে তথ্য ট্র্যান্সফার করতে চান, তা নির্বাচন করুন। এরপর Display Name-এ নাম লিখে Add this connector বাটনে ক্লিক করুন এবং ওই সার্ভিসে লগইন করে অথেনটিকেশন দিন।

ধাপ ২ : এবার Step 2-এ Click to Connect বাটনে ক্লিক করুন এবং কোন সাইটে তথ্য ট্র্যান্সফার করে নিতে চান, তা নির্বাচন করুন এবং একইভাবে ওই সার্ভিসে লগইন করে অথেনটিকেশন দিন।

ধাপ ৩ : এরপরে Step 3-এ Transfer now ev Schedule this transfer বাটনে ক্লিক করে ট্র্যান্সফার শেষ করুন। ফ্রি অ্যাকাউন্টে প্রতি বারে ১ গিগাবাইট পর্যন্ত তথ্য ট্র্যান্সফার করা যাবে,

মাসে ১০ বার ট্র্যান্সেফার করা যাবে এবং একবারে একটি ট্র্যান্সফার করা যাবে।

Designed by TB

Powered by Blogger