চট্টগ্রাম টেস্টের প্রথম দিন দক্ষিণ আফ্রিকাকে ২৪৮ রানে গুটিয়ে
দিয়েছিল বাংলাদেশ। পরে ব্যাটিংয়ে প্রথমবার দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ১০০ ওভার খেলেছে
বাংলাদেশ। প্রথমবার ছুঁয়েছে ৩০০। দ্বিতীয়বারের মত নিয়েছে লিড, আকারে যেটি আগেরটির চেয়েও
বড়। দ্বিতীয় ইনিংসে অবশ্য শুরুটা ভালো করেছিল দক্ষিণ আফ্রিকা, বিনা উইকেটে রান ছিল
৬১। তবে তখনও তারা পিছিয়ে ছিল বাংলাদেশের চেয়ে ১৭ রানে। তৃতীয় দিন শেষে রোমাঞ্চের আভাস
ভেসে গেছে অবিরাম বৃষ্টিতে।
টেস্ট ক্রিকেটে ড্র ম্যাচেও অনেক সময় অনেক হিসাব-নিকাশ থাকে।
ড্র ম্যাচেও থাকে জয়-পরাজয়ের হিসাব। নৈতিক জয়ের হিসাব, মানসিকভাবে এগিয়ে থাকা, আত্মবিশ্বাস
অর্জনের হিসাব। টেস্ট র্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষ দলের সঙ্গে ৯ নম্বর দলের যা পারফরম্যান্স,
তাতে আপাতদৃষ্টিতে প্রাপ্তির পাল্লা বাংলাদেশেরই ভারী মনে হয়।
তবে আমলার দাবি ভিন্ন। দাবির পক্ষে যুক্তিও দেখালেন প্রোটিয়া
অধিনায়ক।
“আমার মনে হয়, চতুর্থ দিনে আমরাই একটু এগিয়ে থেকে মাঠে নামতাম।
কারণ বাংলাদেশকে ব্যাট করতে হতো শেষ দিনে। খেলা হলে দারুণ একটি টেস্ট ম্যাচ হতো। আমরা
আড়াইশ’ রান করলেও এই উইকেটে শেষ দিনে বাংলাদেশের জন্য সেটি হতো কঠিন চ্যালেঞ্জ।”
তবে আমলার যুক্তির উল্টোদিকও আছে। সেসব মনে করিয়ে দিলেন মুশফিক।
“সে তার চিন্তা থেকে বলেছে নিজেদের এগিয়ে থাকার কথা। কিন্তু এখনও তারা ১৭ রানে পিছিয়ে ছিল। জিততে হলে ওদের দ্রত রান তুলতে হতো।
দ্রুত রান তুলতে গিয়ে যদি দুই-তিন উইকেট হারাত, তাহলে ম্যাচ আমাদের কাছে চলে আসত।
দ্বিতীয় ইনিংসে স্পিনাররা আরও ভালো করত। সে দিক থেকে আমরাই এগিয়ে ছিলাম।”
সৌজন্যেঃ বি ডি নিউজ ২৪
ConversionConversion EmoticonEmoticon